তৌহিদুর রহমান,গোপালগঞ্জ কাশিয়ানী প্রতিনিধি: গত (৯ মার্চ) শনিবার রাতে ঢাকা – খুলনা মহাসড়কের গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার  শিবগাতী বাসস্ট্যান্ড থেকে রেলওয়ে প্রকল্পের রড সহ নুর আলম খান নামে এক জনকে হাতেনাতে গ্রেফতার করে কাশিয়ানী থানা পুলিশ।
ঘটনার সময় উপস্থিত স্থানিয়দের ভাষ্যমতে নুর আলম খান ভাংগারী দোকানী গোপেন মালো (৪৭) ও রড সরবরাহকারী   ট্রাকের হেলপার ড্রাইভার  তিনজনএকসঙ্গে ট্রাক থেকে রড নামিয়ে ভাংগারী দোকানে রেখেছিল।
 স্থানীয়রা জানান – এত রাতে রড নামানো দেখে সন্দেহ হলে পাশে পুলিশের একটি টহলদলকে জানান তখন রাত আনুমানিক ১. ৩০ মিনিট। পুলিশ ঘটনাস্থলে থেকে চোরসন্দেহে হিরন্যকান্দি হেকমত আলি খান এর ছেলে নুর আলম খান (২৪) কে কিছু রডসহ থানায় নিয়ে যায়।
এ ঘটনায় রড উদ্ধারকরী পুলিশ টহল দলের প্রধান উপ-পরিদর্শক মোঃ মোসলেম উদ্দিন  ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন- যে রড পাওয়া গেছে তার আনুমানিক ওজন ১ মন হতে দেড়মন হতে পারে। উপ পরিদশক মোসলেম কল রেকড

তবে স্থানিও  প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে এখানে রড ছিল তিন থেকে চার টন।
 এ ঘটনায় পুলিশ ভাংগারী দোকান্দারকে কিছু না বলে ছেড়ে দেয় ,যেখানে এক নম্বর আসামী হওয়ার কথা গোপেন  মালোর।
আর এসব কারনেই এলাকা থেকে প্রায়ই টিউবওয়েল,সেচপাম্প, বসতবাড়ীর মটর, আসবাবপত্র সহ বিভিন্ন জিনিস পত্র চুরি হচ্ছে। এবং ক্রয় করে এই ভাংগারী দোকানদার। স্থানীয়দের বক্তব্য

এতে এলাকায় পুলিশের প্রতি স্থানীয়দের ক্ষোভ ও চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
অনুসন্ধানে বেরিয়ে এলো ঘটনার রহস্য – রড উদ্ধারসহ আটককৃত নুর আলম খান কে রড চুরির মামলায় প্রেরণ করা হয়েছে ঠিকই,তবে সদ্য উদ্ধারকৃত বা দোকানে রক্ষিত রডের নতুন কোন মামলায় নয়।২৭/১০/২৩ সনের রড চুড়ি অন্য এক মামলায় অজ্ঞাত আসামি করে তাকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
তাহলে ৩ থেকে ৪ টন অথবা এক বা দেড় মন রড থানায় রয়ে গেল। যার মালিক রেলওয়ে প্রকল্প।
সরকারি মেগা প্রকল্পের উদ্ধারকৃত কি পরিমান রড বা তার আনুমানিক মূল্য কত এবং আর কোন আসামি আটক হয়েছে কি না মুঠোফোনে
ওসি মোঃ জিল্লুর রহমান- এর কাছে জানতে চাইলে প্রথমে তিনি আসামি আদালতে পাঠিয়ে দেওয়ার কথা বলেন।
কোন্ মামলায় পাঠানো হয়েছে জানতে চাইলে, অন্য মামলায় অজ্ঞাত আসামির কথা স্বীকার করে বলেন- মামলা হওয়া না হওয়া,অজ্ঞাত আসামি করা এর সবকিছুই উর্ধতনদের পরামর্শে করেছি।
ওসি জিল্লুর রহমান কল রেকড

উল্লেখ্য ঘটনার দিন এ বিষয়ে মামলা হবে এবং আরো কেউ জড়িত থাকলে তাদেরও কঠিন ব্যবস্থা গ্রহন করবে,যেহেতু চায়না প্রকল্পের রড, এমনটিই সাংবাদিকদের বলেছিলেন ওসি মোঃ জিল্লুর রহমান।
শেষ পর্যন্ত দায় চাপালেন ভিন্ন রুপে।তবে কি জনসাধারণের সামনে কোন জবাবদিহি নেই? এত মূল্যবান রড কোথায়? জিজ্ঞাসা স্থানীয়দের।